স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঈদুল আযহার বাকি মাত্র এক দিন। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বাগেরহাটের কোরবানির পশুর হাটগুলো; বেড়েছে বেচাকেনা।
এতো দিন হাটে দর্শনার্থী বেশি থাকলেও রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ক্রেতা এবং বিক্রি দুই’ই বেড়েছে হাটগুলোতে। হাটে ভারতীয় গরুর না থাকায় শেষের দিকে এসে দাম বাড়ার আশা ব্যাপারি ও বিক্রেতাদের।
রোববার বাগেরহাটের বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটেই ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখর হাটগুলোতে মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
বাগেরহাটের দেপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা ডা. এস এম লুৎফুর কবির বলেন, গত দুই দিন যাত্রাপুর, মুক্ষাইট, দেপাড়াসহ কয়েকটি হাট ঘুরে গরু দেখেছি। আজ কোরবানীর জন্য পছন্দের গরু কিনতে পেরেছি। তবে গত বছর গুলোর তুলোনায় এবার হাটে গরুর দাম বেশ চড়া।
জেলার অন্যতম পুরাতন পশুর হাট যাত্রাপুরে গরু কিনতে আনিসুল ইসলাম বাদশা নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছরই হাটে দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার দাম অনেক বেশি। সাধারণ মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য সাধ্যের মধ্যে গরু কেনা বেশ কঠিন হয়েছে।
দিন ভর আশপাশের তিনটি পশুর হাটে ঘুরেও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কিনতে না পারে দাম কমার আশায় আগামী দিনের অপেক্ষায় আছেন তার মতো অনেক ক্রেতা।
বাগেরহাটের কাড়াপাড়া এলাকার ক্ষুদ্র খামারি মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবারও (১০ সেপ্টেম্বর) শহর সংলগ্ন হাড়িখালি বালুর মাঠ হাটে দুটি গরু তুলে ছিলাম। তবে ক্রেতা বেশি ছিলো না। আজ ক্রেতা এবং দাম দুটোই ভালো। আশা করছি ভালো দাম পাব।
মো. কামরুল ইসলাম নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, এবার ভারতীয় গরু না আশায় আমরা খুশি। গরুর দামও মোটামুটি ভালোই। আশপাশের হাটে ক্রেতা অপেক্ষা গরু কম। তাই আশা করছি ভালো দাম পাব।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে কোরবানিকে কেন্দ্র করে মোট ৪৩টি পশুর হাট বসেছে।
হাট ইজারাদাররা জানান, শেষ মুহূর্তে বেচা-বিক্রি বেশ ভালো। গরু-ছাগল মিলিয়ে হাটগুলোতে বিক্রি এখন জমজমাট। এসব হাটে দেশি জাতের গরু এবং স্থানীয় পর্যায়ে লালন-পালন করা উন্নত জাতের গরুই বেশি। ভারতীয় গরুর আমদানি নেই বললেই।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে রয়েছে। হাটগুলোতে পশু চিকিৎসকসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইচ/এসআই/বিআই/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬