স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তপতী পোদ্দার (৩৫) নামে এক এমবিবিএস চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মোরেলগঞ্জ পৌর বাজারে তার বাবার বাড়ির ছাদের চিলেকোঠা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তপতী পোদ্দার জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সুনিল কুমার পোদ্দারের মেয়ে এবং কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাসের স্ত্রী। তাদের একটি মেয়ে আছে।
তপতী পোদ্দার আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পরিবার সংশ্লিষ্টদের।
ডা. তপতী বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ম্যাটারনাল নিউনেটাল হেলথ (এমএনএইচ) প্রকল্পে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমএনএইচ (মা ও শিশু স্বাস্থ) প্রকল্প সমাপ্ত হয়। পরে তিনি বাগেরহাটের সাইনবোর্ড় এলাকায় শ্বশুরের নামে প্রতিষ্ঠিত শরৎচন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাসের ব্যক্তিগত সহকারি শরীফ তুহিন মাহমুদ বলেন, এমএনএইচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন তার অস্বাভাবিক আচরণের জন্য তার স্বামী চিকিৎসক তাপস দাস তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জনু শামছুন্নাহারের কাছে নিয়ে যান।
ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে প্রায় সাত মাস চিকিৎসা শেষে গত ১৮ আগষ্ট তিনি ঢাকা থেকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে ফিরেন।
‘বুধবার সকাল সাতটায় মোরেলগঞ্জ পৌরসভার বাজারে তার বাবার বাড়ির তিনতলার ছাদের চিলেকোটায় রডের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ডা. তপতী পোদ্দার।’
তুহিন মাহমুদ জানান, ২০০০ সালে ডা. তাপস কুমার দাসের সঙ্গে তপতী পোদ্দারের বিয়ে হয়। তপতী ২০০৮ সালে সিকদার মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুন কুমার মন্ডল বলেন, ২০১২ সালের ১ জুলাই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ম্যাটারনাল নিউনেটাল হেলথ (এমএনএইচ) প্রকল্প চালু হয়। ওই প্রকল্পে তপতী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ হলে তপতী বেকার হয়ে পড়েন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তারক বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে তপতী পরিবারের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির তিনতলার ছাদের চিলেকোটায় উঠে একটি রডের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তপতীর পরিবার কোনো অভিযোগ না করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান ওসি।
এজি/এসআই/বিআই/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬