স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র কার্যালয় ও জেলা কমিটির সভাপতি এম. এ. সালামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে একদল দুর্বৃত্ত ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপি’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল যোগে কতিপয় যুবক হামলা চালাকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মী আহত হন।
বিএনপি দাবি, ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলে আসা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্ধ শতাধিক নেতা, কর্মী প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
শহরের মুনিগঞ্জ এলাকায় জেলা বিএনপির কার্য়ালয়ের সামনে হামলার শিকার ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মী হলেন জেলা ছাত্রদলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন, মুন্না ও কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম। এদের মধ্যে সুমনের মাথা ফেটে যায় এবং অন্যরা প্রহৃত হন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সকালে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর নির্ধারিত অনুষ্ঠান শেষে তিনি শহরের সরুই ছোট কবরখানা এলাকায় তার বাড়িতে ফেরেন। এর কিছু সময় পরে দুপুর ১টার দিকে ২৫-৩০টি মটরসাইকেলে আসা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির সামনে তার নাম ধরে গালাগালি করে এবং বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। গেট বন্ধ থাকায় তারা ঢুকতে ব্যার্থ হয়।
এ সময় তারা বাড়ির নীচতলায় নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের চারটি জানালা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।
জেলা বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, একই হামলাকারীরা তার বাড়ি থেকে মুনিগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়ে যেয়ে ইট পাটকেল ছোড়ে এবং দলীয় ও জাতীয় পতাকা স্ট্যাণ্ড ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের তিন নেতাকে মারধর করে।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ে যাবার পথে ঐ হামলাকারীরা শহরের আমলাপাড়া সড়কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু এবং স্টাফ কোয়ার্টার সসড়কে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শমসের আলী মোহনের বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের খোঁজ করে এবং নাম ধরে গালাগালি করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রিশ থেকে চল্লিশ জনের সংঘবদ্ধ একদল মটরসাইকেল আরোহী বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের দশানী এলাকায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর বন্ধ কার্যালয়ে ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং নতুন জেলখানা এলাকায় জেলা জামায়াতের এক নেতাকে ধাওয়া করে। ঐ নেতা দৌড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্ত্বরে ঢুকে পড়লে ধাওয়াকারীরা চলে যায়।
বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বিএনপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে জড়িত না। বিএনপি তাদের অভ্যন্তরীণ বিবাদের দায় আমাদের কর্মীদের উপর চাপানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুরের চিহ্ন পেয়েছে, তবে কাউকে আটক করতে পারেন। এই ঘটনায় কেউ মামলা করেননি।
এএইচ/এসআই/বিআই/০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬