স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটের চতুর্থ দিনে মংলা সমুদ্র বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে শুক্রবারও (২৬ আগস্ট) বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস এবং নৌপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহনের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে সোমবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করেন।
ফলে টানা চতুর্থ দিনের মতো মংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সোহাগ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বর্তমানে বন্দর জেটি ও বহির্নোঙরে পাথর, কয়লা, সার, গম, স্টিল প্লেট ও ক্লিংকারবাহী (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) মোট ১১টি জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) রয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস ও বোঝাই করা যাচ্ছে না। এতে বন্দরে জাহাজের জট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বন্দর ব্যবহারকারী ও শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী এইচ এম দুলাল জানান, আমদানি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজগুলো পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরে চ্যানেলে অলস বসে আছে। এতে মোটা অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এছাড়া পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত শত শত নৌযান বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে আছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের মংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম মাস্টার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে নৌ ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে কয়েক দফা ধর্মঘটের সময় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাব।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে মংলা বন্দরের সঙ্গে নৌপথে সারাদেশের যোগাযোগ ও পন্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে লোড- আনলোডও।
তবে তেলবাহী ট্যাংকারের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করায় ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকছে প্রায় ৫ হাজার (তেল পরিবহণকারী নৌযান) ট্যাংকার।
অন্যদিকে, ধর্মঘটের কারণে বন্দরের অচল অবস্থায় মংলা ইপিজেড, বন্দরের শিল্প এলাকার বিভিন্ন কল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এইচ/এসআই/বিআই/২৬ আগস্ট, ২০১৬