স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে থেমে থেকে দমকা বাতাসসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে উপকূলী জুড়ে।
এদিকে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ৬টায় খুলনা অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে গভীর সঞ্চলনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বলে যেতে পারে।
এজন্য মংলাসহ চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সকর্ত সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপারে কারনে উপকূলীয় জেলা এবং তার অতুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে ঘন্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বা আরও বেশি বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফিট উচ্চতর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হবে পারে।
একই সাথে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে আবহাওয়া বার্তায়।
ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড় আবহাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে মংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও খালাস কাজ।
সাগর উত্তাল থাকায় এরই মধ্যে কয়েক শত মাছ ধরা ট্রলার এবং নৌকা সুন্দরবনের ছোট ছোট নৌকা ও খালে আশ্রয় নিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বাগেরহাটের এফবি জোবেদা ট্রলােরর মালিক ও মাঝি আক্কাসআলী জানান, তিনিসহ শতাধিক ট্রলারের মাঝি-মাল্লা ও জেলেরা সুন্দরবনের দুবলার চর সংলগ্ন বিভিন্ন ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছেন। সাগর এখনও উত্তাল থাকায় কেউ বের হতে পারছেন না।
এদিকে, মৌসুমি নিম্নচাপের কারনে রাত থেকে দমকা বাতাসসহ ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূল জুড়ে। বাগেরহাট শহরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকা রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, বাতাসে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ায় দুর্ঘটনা রোধে সঞ্চলন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
এইচ/এসআই/বিআই/১০ আগস্ট, ২০১৬