স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে বাগেরহােটর নিম্নাঞ্চল।
গত দুই দিনের মতো শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরেও বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র রাহাতের মোড়, ডাকবাংলা, কাপুড়ে পট্টি, সাধনার মোড়, পুরাতন বাজার, মিঠাপুকুর পাড়, লোকাল বোর্ড ঘাট, বাসবাটি, খারদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্লাবন ভূমি কমে যাওয়াতে বর্ষায় অমাবশ্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে ভৈরব, পানগুচি, পশুর নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবন দেখা দেয়।
বাগেরহাট পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারে ভৈরব নদে পানি পাড়লে ড্রেনগুলোর মাধ্যমে পানি এসে তলিয়ে যায় শহর।
শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পাল ও সুমন কোটাল বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। নদীর পানি বাড়লে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। এতে আমাদের চলাচলে দারুণ অসুবিধা হয়।
পানি নিষ্কাশনের জন্য শহরের ভেতরের খালগুলো পুনরুদ্ধার করে দ্রুত খনন এবং ড্রেনগুলো প্রশস্ত করার দাবি তাদের।
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলেন, পৌরসভার ড্রেনের পানি নামে ভৈরব নদ দিয়ে। বর্তমানে জোয়ারের পানির প্রবল চাপ। তাই শহরের ড্রেন দিয়ে পানি ঢুকে পড়ায় এবং বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, জোয়ারে অস্বাভাবিক পানির চাপে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, শহরণখোলা, মংলা ও রামপাল উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত দুই দিন ধরে জোয়ারের সময় নদীর পানি ঢুকে জেলা সদরের ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার কয়েক শত পরিবার দিনে দুই বার প্লাবিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মো. কুদ্দুস সরদার জানান, ভৈরব নদের পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী ইউনিয়নের মুক্ষাইট-হদেরহাট রাস্তাভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া জোয়ারের সময় রাস্তার ওপর দিয়ে পানি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ছে।
এতে কয়েক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে বেশ এলাকার পুকুর ও মাছের ঘের।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শংকর কুমার চক্রবর্তী দ্রুত ভেঙে যাওয়া রাস্তা সংস্কার ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিনে বৃষ্টি ও নদীতে পানি বেড়ে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারনে বিভিন্ন এলাকায় পানের বরজ ও ধানের বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে।
এইচ/এসআই/বিআই/০৬ আগস্ট, ২০১৬