স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে দস্যু দমনে নৌ-বহিনীকে সঙ্গে নিয়ে উপকূল রক্ষী বাহিনী কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে মিন্টু মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের দাবি গ্রেপ্তার মিন্টু মিয়া সুন্দরবনের কথিত দস্যু আল-আমিন বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের জাভা নদীর জোড়াশিং ঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু মিয়া খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের সৈয়দ মোল্লার ছেলে।
এদিকে যৌথ অভিযানে বনদস্যুদের ব্যবহ্নত আস্তানা ও ওয়াস টাওয়ার মিলিয়ে মোট ৮টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম ফরিদুজ্জামান খান বলেন, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জাভা নদীর জোড়াসিং ঘাট এলাকা থেকে বনদস্যু আল-আমিন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এসময় তার কাছ থেকে কোন আগ্নেয়াস্ত্র বা বিষ্ফোরক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া গত ৩৬ ঘন্টায় বন ও জলদস্যুদের ছোট বড় ৮টি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। যা আমরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি।
মংলাস্থ উপকূল রক্ষী বাহিনীর (কোস্টগার্ড) পশ্চিম অঞ্চলের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়াল পেশাজীবীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং দস্যু দমনে অপারেশন পাইরেটস হান্ট নামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়। সুন্দরবনের শরণখোলা, চাঁদপাই, খুলনা ও সাতক্ষীরা এই চারটি রেঞ্জ এলাকায় এক যোগে ১২টি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে আধুনিক জলযান নিয়ে সুন্দরবনের দুবলারচর, কচিখালি, কোকিলমনি, কৈখালি, নলিয়ান, কয়রা ও দোবেকি এলাকায় অভিযানের ৩৬ ঘন্টায় এক দস্যুকে গ্রেপ্তার এবং ছোট-বড় ৮টি দস্যুদের স্থাপনা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যে রাতে অভিযান শেষ করা হবে। তবে সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করতে এধরনের অভিযান মাঝে মাঝেই চালানো হবে।
এজি/এসআই/বিআই/০৫ আগস্ট, ২০১৬