বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমানকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজের দেওয়া হয়েছে।
তার বারুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে আনিসুর রহমান মোরেলগঞ্জে যোগদান করা মাত্র জড়িয়ে যান ব্যপক অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে। শিক্ষকদের মধ্যে দালাল সৃষ্টি করে ট্রেনিং ও বিদ্যালয় ভিত্তিক স্পি কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দ হওয়া উন্নয়ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১২ সালে তিনি সরাসরি প্রতিটি বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার টাকার সিংহভাগই শিক্ষকদের বিপদে ফেলার ভয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে অনেকের শিক্ষকের অভিযোগ। সর্বশেষ নিয়োগ প্রাপ্ত বেসরকারী শিক্ষকদের যোগদানের ক্ষেত্রেও তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে হয়েছে শিক্ষকদেরকে।
তিনি ২০১২ সালের ১৩ মার্চ মোরেলগঞ্জে যোগদান করেছিলেন।
যোগদানের ১৫দিনের মাথায় তার প্রথম বদলীর আদেশ হলেও পরেতা স্থগিত করা হয়। পূর্ণ এক বছরের মাথায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আনিসুর রহমানকে মোরেলগঞ্জ থেকে পাইকগাছায় স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে পাইকগাছায় যোগদান না করলে মোরেলগঞ্জে তার পদটি অবমুক্ত হবে বলে বৃহস্পতিবার মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, তার পূর্বের কর্মস্থল শার্শা ও নিজ বাড়ির এলাকা সাতক্ষীরা থেকে সেখানকার সাজেশন বই ও উন্নয়ন ফান্ডের সাড়ে ৯ হাজার টাকার বিপরীতে ৩০৯টি বিদ্যালয়ের প্রতিটিকে মাত্র ৪ হাজার টাকার উপকরণ সরবরাহ করেছেন এবং বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উঠেছে। নতুন জাতীয় করণের আওতায় মোরেলগঞ্জের ১৭০টি বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষক ও অভিভাবকগণ এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবী জানিয়েছেন।