যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা সাইনবোর্ড সড়কটি ।
সাইনবোর্ড মোড়ের পর থেকই খানাখান্দে ভরা পুর সড়ক। সড়কের পিচ ও খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে হাজারও গর্তের ।পরিবহনসহ সংশ্লিষ্টরা জানায়, মোড়েলগঞ্জ থেকে শরণখোলা ও শরণখোলা থেকে ঢাকা চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি ১৫টি দূরপাল্লার পরিবহনসহ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন।
সাইনবোর্ড মোড়ে দীর্ঘ ৫২ দশমিক তিন কিলোমিটার সড়কটিকে ২০১১-১২ সালে ২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩০টি ব্রিজ ও কার্লভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হলেও মূল সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়নি।
এ অবস্থায় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৩০ নভেম্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক নামে পরিচিত এ সড়কটির বেহাল দশা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সড়ক পরিদর্শন শেষে মোরেলগঞ্জের সোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ সড়কের কাজ শুরু হবে।
সড়কটি উন্নয়নের জন্য ৮৯ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আছে বলেও মন্ত্রী তখন জানান।
যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওই ঘোষণায় এলাকাবাসী আশ্বস্ত হলেও ঘোষণা অনুযায়ী সড়কের কাজ শুরু না হওয়ায় এখন তিন উপজেলার প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ হতাশ।
এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুম শুরু হলে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আসংকা করছে তারা। ফলে সুন্দরবনঘেষা সিডর বিধ্বস্ত সীমান্ত উপজেলা শরণখোলার সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে সড়ক জনপথ বিভাগের বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আব্দুল আলী জানান, তিনটি প্যাকেজে ২৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও অর্থ ছাড়করণে কোনো প্রকার জটিলতা দেখা না দিলে খুব শীঘ্রই এই জেলা সড়কটির কাজ শুরু হবে।
এই ২৩ কিলোমিটার কাজের আওতায় সাইনবোর্ড থেকে মোড়েলগঞ্জের সোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এবং শরণখোলা সদর থেকে বগীমুখী কাঁচা সড়কের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করানো হবে বলেও তিনি জানান।