স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৭টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। এসময় দগ্ধ হয়ে অজ্ঞাত একজনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারের কাপুড়েপট্টিতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট নাকি নাশকতা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত না নিশ্চিত করে বলতে পারেনি প্রশাসন।
আগুনে বাজারের আব্দুস সালাম ব্যাপারী, আব্দুল আউয়াল ব্যাপারী, হাজী রফিকুল ইসলাম ও মিরাজ শেখের ছিট কাপড় এবং সরোয়ার হোসেন, হাসিবুর রহমান বাচ্চুি ও হুমায়ুন তালুকদারের গার্মেন্টস দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওবায়দুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাজারের কাপুড়ে পট্টিতে আগুন দেখতে পায়। এসময় তারা মসজিদের মাইক থেকে আগুন লাগার ঘোষণা দিলে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে ছুটে আসেন।
ঈদের আগ মূহুর্তে উপজেলা সদর বাজারে ভয়াবহ এই আগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) স্বপন কুমার ভক্ত বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ভোর সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ওই সময়ের মধ্যে ৬টি কাপড়ের দোকান সম্পূর্ণ এবং একটি আংশিক ভষ্মিভূত হয়ে যায়। তদন্ত ছাড়া অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন এখনই বলা যাবে না।
ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চেনা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে কেই আহত হননি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, মিরাজ শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সারা শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে তা চেনার উপায় নেই।
নিহত ব্যক্তি কিভাবে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে এবং তার পরিচয় কি তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আগুনের ঘটনায় সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছিট কাপড় ও গামেন্টস সামগ্রী পুড়ে অন্তত চার থেকে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে। অগ্নিদগ্ধ যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়রাও কেউ তার পরিচয় বলতে পারছেন না।
ওই ব্যক্তি কেন সেখানে এসেছিল তা জানতে এবং পরিচয় নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। পরিচয় জানা গেলে আগুনের সঠিক কারন জানা যাবে।
এসএইচ/এসআই/বিআই/০৫ জুলাই, ২০১৬/আপডেট