বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মংলা-খুলনা মহাসড়কে সুকদাড়া এলাকায় পিকেটিংয়ের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।
১৮ দলের ডাকা ৩৬ঘন্টা হরতালের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় পিকেটিংয়ের সময়ে তাদের উপর আওয়ামীলীগের এক নেতা গুলিবর্ষন করে। এ সময়ে তার শর্টগানের গুলিতে দুই বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে, গুলিবিদ্ধ বিএনপি কর্মী আবুল কালাম ও রাজুকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবুল কালাম ও রাজু পিলজং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে। অপর আহত তিন জনের নাম-পরিচয় যানা যায়নি।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা পাকির আলী ও আব্দুস সত্তার নামে দুই আওয়ামী লীগ সর্মথকের দোকান ভাঙচুর করেছে।
এদিকে বিএনপি নেতাদের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার মোড়লকে গ্রেফতারের দাবিতে মহাসড়কের পাশের গাছ কেটে ও বিদ্যুতের খাম্বা ফেলে অবরোধ করে।
পরে দুপুরের ফকিরহাটের সুকদাড়া মোড়ে র্যাব-৬ এর একটি দল ও অতিরিক্ত দুই প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুলি বর্ষনকারীকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, মঙ্গলবার সকালে ফকিরহাটের শুকদাড়া মোড়ে পিকেটিং চলাকালে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার মোড়লসহ অন্যন্যরা মোটরসাইকেলে যোগে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে আজাহার মোড়লের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে যায়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আলম জানান, সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে হরতাল সমর্থকরা পিকেটিং করেছিলো। এসময় গাড়ি নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আজাহার মোড়ল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বাধা দেয় পিকেটারা। এরপর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে র্যাব ৬ এর সদস্য ও পুলিশ গিয়ে হরতাল সমর্থকারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এবং গুলি বর্ষণকারীকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয়। পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।