বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় মান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা ও পার্শ্ববর্ত্তি নাসিরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও কোরাণ শিক্ষালয়ের শিক্ষক ক্বারী মো: মকসুদুর রহমান (৪০) মৃত্যুর ২ দিন পর গতকাল সকালে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ শনিবার রাতে এশার নামাজ শেষে করে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। ৬ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরহুমের মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
গতকাল নিজ গ্রামের মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুমের নামাজে জানাজায় এলাকার মানুষ, আত্মীয়-পরিজন ছাড়াও দল মত নির্বিশেষে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
তার পারিবারের অভিযোগ, চাঁদার দাবী মেটাতে না পারায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত এলাকার একটি চিহ্নিত সশস্ত্র চক্র ৯ মার্চ রাতে তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। দূর্বৃত্তরা তাঁর হাত- পায়ের রগ কেটে দেয়ার পর প্রথমে খুলনা মেডিকেল ও পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার দায় এড়াতে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান শেখ সুমনের চাচা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আফজাল হোসেন দেশে বিরাজমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টির অভিযোগে আহত ইমাম কে মূখ্য আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে এনিয়ে চরম ক্ষোভ ও শোকাবস্থা বিরাজ করছে। নিহত ইমামের পারিবারিক সদস্যরা দাবী করেন, তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সর্ম্পৃক্ত ছিলেনা। এ অবস্থায় সশস্ত্র হামলার ঘটনার মূল নায়ক সুমন শেখ সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য সরকার, জন-প্রতিনিধি, মানবাধিকার সংস্থা সমূহ ও প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।