স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
স্বৈরাচার বিরোধী নেতা বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান স ম রফিকুল ইসলাম রুমি (৫৫) আর নেই (ইন্না….রাজিউন)।
সোমবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভূগছিলেন।
রুমির মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একনজর দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান। এসময় তার শুভানুধ্যায়ীরা অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ভাইবোন, আত্নীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাগেরহাট শহরের আলীয়া মাদরাসায় বাদ যোহর তার প্রথম নামাজের জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে রনবিজয়পুর ও পাটরপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে আরও দুটি জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
৬০ এর দশকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের পাটরপাড়া গ্রামের প্রয়াত শেখ আক্কাস আলীর দশ ছেলেমেয়ের মধ্যে রুমি ছিলেন দ্বিতীয়। ভাসানী ন্যাপের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পরে তিনি জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ বলেন, রফিকুল ইসলাম রুমি ৯০ এর দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের অন্যতম লড়াকু সৈনিক ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সব সময় আপোষহীন। এজন্য তাকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। আমরা বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণকে হারালাম।
রাজনীতিতে ছিলেন র্নিলোভ একজন মানুষ। বিবাহিত জীবনে তিনি ছিলেন নিঃসন্তান।
রুমির ভাগ্নে শেখ রাসেল বলেন, কয়েক বছর ধরে তিনি কান্সার ও কিডনি রোগে ভূগছিলেন। ভারতের চিকিৎসকরা তার জীবনের আশা ছেড়ে দিলে তাকে বাড়ি এনে রাখা হয়। গত শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল নয়টায় তার মৃত্যু হয়।
তার এই অকাল মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টিসহ (এরশাদ) বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
এজি/এজি/বিআই/২৭ জুন, ২০১৬