স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে বাগেরহাটে এক শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলি এবং ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন এই নিদের্শ দেন।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বিদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
একই অভিযোগে শহরের ৩টি স্কুলের আরও ১১ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই ১১ শিক্ষক হলেন- বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরুণ কুমার গোস্বামী, সেলিম, মহসিন আলী, কবীর হোসেন আকন, অপূর্ব রায়, মুজিবুর রহমান, উত্তম কুমার দাস, দেবাশীষ দাস, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আঞ্জুমান আরা, জুয়েল এবং যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষনীতি লঙ্ঘন করে কোচিং করানোর পরও কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানিয়ে আগামী সাত কর্যদিবসের মধ্যে ওই শিক্ষকদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর কিছু শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পেয়ে বুধবার (১৫ জুন) বাগেরহাটে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে অনেক শিক্ষক পালিয়ে যান।
এসময় কোচিং এ আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা নীতি লঙ্ঘন করে কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য কোচিং বাণিজ্য বন্ধ সংক্রান্ত জেলা মানিটরিং কমিটি এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
এসএইচ/এসআই/বিআই/১৬ জুন, ২০১৬