বাগেরহাটের ফকিরহাটে নির্বাচনী বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
রোববার (৫ জুন) বিকালে ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ব্রহ্মডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুল সরদার (২৬) নলধা গ্রামের আতিয়ার সরদারের ছেলে। তিনি নলধা মৌভোগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার আলী মোড়লের সমর্থক ছিল এবং স্থানীয় যুবলীগের কর্মী।
আহতরা হলেন- আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের খলিলুর রহমান (৫৭) ও তার ছেলে ইমরান খান (১৭)। প্রথমে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মো. মহসীন ও বিদ্রোহী প্রার্থী আজহার আলী মোড়লের বিরোধ চলছিল। গত ২২ মার্চ নির্বাচনে নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরও ওই বিরোধের জেরে বিভিন্ন সময় দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এর জেরে আজহারের সমর্থক হাফিজুল ও ইমরান খান ব্রহ্মডাঙ্গা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ৩০/৩৫ জন ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
“পরে হামলকারীরা আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের খলিলুর রহমান, আবুল হোসেন ও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে ভাংচুর করে এবং খলিলকে কুপিয়ে জখম করে।”
তবে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী মো. মহসীনের সমর্থকদের দাবি দুপুরে নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরদার আলতাফ হোসেনকে একই এলাকার আবুল হোসেন গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে জখম করে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রহমান জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত হাফিজুলের সঙ্গে হামলাকারীদের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অযাহিদুজ্জামান বাবু জানান, নিহত হাফিজুল সরদার স্থানীয় যুবলীগ কর্মী এবং আহত ইমরান খান ছাত্রলীগের কর্মী।