স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট । বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ দস্যুদল ‘মাস্টার বাহিনী’র প্রধানসহ ১০ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে বাগেরহাটের মংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে আত্মসমর্পণের এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
এরআগে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দুপুরে হেলিকপ্টারে করে মংলায় আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মংলায় আসেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে মজিদ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৭), সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন (৩৭), ফজলু শেখ (৩৫), সোলায়মান শেখ (২৮), মো. শাহিন শেখ (২৮), মো. হারুন (২৪), মো. আরিফ সরদার (২২), মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কোকিল (২৭), সুমন সরকার (৩৪) ও মো. সুলতান খান (৫৮)।
এদের বাড়ি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত রোববার (২৯ মে) পূর্বনির্ধারিত ওই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
তবে ওইদিন ভোরে সুন্দরবনের গহীনে হারবাড়িয়ার চরাপুটিয়া এলাকায় র্যাবের কাছে ‘মাস্টার বাহিনীর প্রধান’ মোস্তফা শেখ ও তার ছয় সহযোগী ৫১টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় পাঁচ হাজার গুলি জমা দেন। এরপ তাদের র্যাব-৮ হেফাজতে রাখা হয়।
পরবর্তী দুদিনে আত্মসমর্পণের জন্য আরও তিন দস্যু র্যাবের কাছে ধরা দেয়।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বলেন, অাত্মসমর্পণ করা দস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য সর্ব মোট ৫২টি অত্যাধুনিক দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় পাঁচ হাজার গুলি জমা দেয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এর মাধ্যমে সুন্দরবনের অন্যান্য দস্যু বাহিনীও অস্ত্র ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হবে। তবে তাদের সাজা কমিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ব্যাপারে বিশেষভাবে সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) কর্নেলর আনোয়ার হোসেন, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম, উপ- অধিনায়ক মেজর আদনান কবির, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নিজামুল হক মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।