নিউজ ডেস্ক । বাগেরহাট ইনফো ডটকম
মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা আরও প্রায় ৩শ’ গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই এ নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে জানা গছে।
মংলা বন্দরে জায়গা খালি ও দীর্ঘদিনের শুল্ক জটিলতা দূর করে রাজস্ব আদায় করতে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বন্দরের ৩৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে।
এনবিআরের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুল্ক জটিলতা ও আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি বিষয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের বৈঠক হয়।
বৈঠকে এসব গাড়ি দ্রুত খালাস ও নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে জায়গা খালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।
এছাড়া রাজস্বের ক্ষতি হবে না- এ মর্মে আশ্বস্ত হওয়ার পর দ্রুত গাড়ি খালাস করতে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও এনবিআরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মংলা কাস্টমস কমিশনার আল-আমিন প্রামাণিক বলেন, আমদানির পর খালাসের একটি নির্ধারিত সময় থাকে। আমদানিকারকরা বিভিন্ন অজুহাতে এসব গাড়ি খালাস করেননি। কাস্টমস আইন অনুযায়ী এসব গাড়ি নিলামে তোলা হবে।
কমিশনার জানান, ১৬৯টি গাড়ির বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আমরা দ্রুত আইনি জটিলতা শেষ করার চেষ্টা করছি। জটিলতা শেষ হলে এসব গাড়িও নিলামে তোলা হবে।
তিনি জানান, শুল্ক জটিলতায় ২ হাজার ৭৯টি আটকে আছে। এর মধ্যে ৫১২টি আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি। কিছু গাড়ি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিপিও ও আদালতের আদেশে ছাড় হয়েছে।
তবে কাস্টমস প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমদানিকারকদের হয়রানি করতে গাড়ি নিলামে তুলছে বলে অভিযোগ তুলেছে গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা।
বারভিডা’র সভাপতি আব্দুল হামিদ শরীফ বলেন, শুল্ক জটিলতায় প্রায় ১ হাজার ৫শ’ গাড়ি আটকে আছে। এসব গাড়ির মূল্য প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, শুল্ক জটিলতায় গাড়ি খালাস না হওয়ায় অনেক আমদানিকারক ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। অনেক আমদানিকারক ব্যাংক ঋণ পরিশোধে সর্বস্ব বিক্রি করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমদানিকারকরা তো এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানকে দ্রুত এসব গাড়ি খালাসের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ কাস্টমস কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আমদানিকারকদের হয়রানি করতে গাড়ি নিলামে তুলছেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান জানান, আমদানি-রফতানিতে মংলা বন্দরের জায়গা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আমদানিকারকদের সকল ধরনের সুবিধা দিতে আমরা প্রস্তুত। এসব গাড়ি দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এসব গাড়ি দ্রুত খালাসের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। কাস্টমস আইন অনুযায়ী এসব করা হচ্ছে।
বিএন২৪/এসআই/বিআই/২৩ মে, ২০১৬