স্টাফ করেসপন্ডেন্ট । বাগেরহাট ইনফো ডটকমমংলা-ঘষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ-রুটে খননের পর নতুন করে পলি পড়লেও তা দ্রুত অপসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে নৌরুটের চলমান ‘সংরক্ষণ খনন প্রকল্প’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুস সামাদ বলেন, বর্তমানে চ্যানেলটিতে ১২টি ড্রেজারের মাধ্যমে সংরক্ষণ খনন কাজ চলছে। চলমান খননের পরেও কোথাও কোথাও নতুন করে পলি পড়ছে। সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। খননের পাশাপাশি এখন চ্যানেলের সংযোগকারী খালগুলোর প্রশস্ততা ও গভীরতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এতে জোয়ার-ভাটার পানি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে পলি কম জমবে।
বর্তমানে খননের মাঝেও এই নৌ চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ এবং আর্ন্তজাতিক নৌযান (ভারতগামী) চলাচল করছে। মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল ও এর সংযোগকারী খাল খনন করে এ চ্যানেলটি সব সময়ের জন্য চালু রাখা হবে এবং এটি চালু থাকবে।
নৌ চ্যানেলের ‘সংরক্ষণ খনন প্রকল্প’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের মংলায় ফুয়েল জেটি সংলগ্ন বন বিভাগের রেস্ট হাউসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা কার্যালয়ের পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফরহাদ উজ্জামান, মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আলী প্রিন্স, মংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, রামপালের ইউএনও রাজিব কুমার রায়, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
এএইচএস/এসআই/বিআই/২৩ মে, ২০১৬