স্টাক করেসপন্ডেন্ট । বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রেক্ষিতে সতর্ক সংকেত বাড়িয়ে মংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বাগেরহাটের উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২০ মে) রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার উপকূলীয় এলাকা গুলোতে মাইকিং করে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার অধিবাসীকে সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা ও মংলা উপজেলার ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য এলাকাগুলো থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাগেরহাটের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৪ মেডিকেল টিম এবং ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ শুরু করেছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর জেলা প্রশাসন উপকূল অধিবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করেছে। শরণখোলা ও মংলা উপজেলায় ১৩ আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৮ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে মংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির খবরে বাগেরহাট জুড়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজসহ সব ধরনের জলযানকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা এলার্ট ৩ জারি করা হয়েছে।
এসআই/এইচ/বিআই/২০ মে, ২০১৬
** মংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
** ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’: দুর্যোগ মোকাবেলায় বাগেরহাট প্রস্তুত