স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট । বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসাবে বাগেরহাটের প্রশাসন ১৬টি কন্টোল রুম খুলেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ২৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র। বন্ধ রয়েছে মংলা বন্দরে পন্য ওঠানামা ও খালাস কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ উপকূল অঞ্চলে থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলার সকল সরকারি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলার চারটি উপকূলীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের রাতের মধ্যে স্ব স্ব উপজেলার দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভা করে সকল প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিম এবং সেচ্ছাসেবক দল।
দুর্যোগ এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সভা থেকে জানানো হয়।
সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন উল-হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার সাদিয়া আফরোজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
মংলা বন্দর কর্তৃপ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানোর পর বন্দরে সব ধরণের সতর্ককতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরে একটি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্দরের সব নৌযান নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বন্দরে সব ধরনের জাহাজে মালামাল উঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বন্দরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সতর্ক করে বন্দর কর্তৃপরে উদ্ধারযানগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার মেহেদী মাসুদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সতর্ক সংকেত জারীর পর কোস্টগার্ডের ১২টি স্টেশনকে সতর্ক করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের নদীখালে মাছ ধরা জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় কোস্টগার্ডের আধুনিক জাহাজসহ উদ্ধার যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সতর্ক সংকেত জারীর পর থেকে কোস্টগার্ডের একাধিক উপকূলীয় দল নদ-নদী থেকে জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।