সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) গুলিতে সন্দেহভাজন এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
র্যাব বলছে, নিহত আলম খান (৪৫) পূর্ব সুন্দরবনের বনদস্যু আলম বাহিনীর প্রধান।
শুক্রবার (০৬ মে) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর মৃগামারী খালে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী, আন্ধারমানিক ও শ্যালা নদী এলাকায় জেলে অপহরণ ও ডাকাতির কয়েকটি ঘটনায় আলম বাহিনীর সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়ে শুক্রবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, শ্যালা নদীর তেতুলবাড়িয়া খালের পাড়ে পলিথিনের ছাউনি দেওয়া একটি আস্তানার সন্ধান পান। ভোর সোয়া ৬টায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা গুলি ছুড়েতে শুরু করে। এ সময় র্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে আধাঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এক পার্যায়ে দস্যুরা বনের ভেতরে সরে গেলে ওই এলাকা তল্লাশি করে মৃগমারী খালের মুখে বনের ভেতরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
র্যাবের ভাষ্য, পরে স্থানীয় জেলেরা নিহত ব্যক্তিকে আলম বাহিনী প্রধান আলম খান হিসেবে শনাক্ত করেন। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায়।
লে. ফরিদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে র্যাব সদস্যরা ৪টি একনলা বন্দুক, ২টি দোনলা বন্দুক, ২টি শটগান, ২টি ওয়ান শুটার গান, ২টি বিদেশি এয়ারগান, ১১১টি রাইফেলের গুলি, ৩৬টি বন্দুকের গুলি, এয়ারগানের ৩৯২টি গুলি, ৩৭টি বন্দুকের কার্তুজ, ৫টি রামদা, ২টি মোবাইল ফোন, ২টি টর্চ লাইট এবং চাঁদা আদায়ের ‘টোকেন’ উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বাগেরহাটের মংলা থানায় মামলা করা করেছে।