সুন্দরবনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রাম থেকে খলিলুর রহমান হাওলাদার (৩৫) নামে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
খলিলুর রহমান উত্তর রাজাপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার হাওলাদারের ছেলে।
এদিকে, তৃতীয় দিনেও সুন্দরবনের আগুন নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও বন কর্মীরা।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান জানান, শুক্রবার সারাদিন পানি ছিটালেও বেশ কয়েকটি স্থানে সন্ধ্যায়ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
“কিন্তু অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ স্থগিত করেছে।”
শনিবার সকালে তারা আবার কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
পানি সংকট আর প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে, তিনি বলেন।
বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ২৫ নম্বরর কম্পার্টমেন্টের তুলাতলায় আগুন লাগে। এক মাসের মধ্যে এটি সুন্দরবনে চতুর্থ বারের আগুন।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শাহ আলম মিয়া জানান, সুন্দরবনে আগুন লাগানোর সন্দেহে খলিলুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলকায় আগুন লাগার ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেন। এছাড়া বনবিভাগ বন আদালতে আরও একটি মামলা করে।
এসব মামলায় খলিলকে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
অপরদিকে সুন্দরবনে দফায় দফায় আগুন লাগার কারণে চাঁদপাইয়ের পর শরণখোলা রেঞ্জেও বনজীবীদের সব ধরনের পাস-পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।
যেসব জেলে, মৌয়ালী বা বাওয়ালীরা পাস-পারমিট নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করছে তাদেরও দ্রুত বন থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ।