দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩০), নাগেরবাজার এলাকার রিপন চৌধুরীর ছেলে শামীম চৌধুরী (২৮) এবং খারদ্বার এলাকার মুন জাহের শেখের ছেলে জামাল শেখ (২৯)।
এদের মধ্যে জামাল শেখ জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
একইসঙ্গে আদালত ওই তিন আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ২৯ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের পিসি কলেজের হরিণখানা এলাকায় বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজু শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যায় তার সহপাঠী বন্ধু সুমন, শামীম ও জামাল।
“পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
এই ঘটনায় নিহতের শেখ জামাল উদ্দিনের বাবা ওই দিন রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সুমন, শামীম ও জামালকে গ্রেপ্তার করলে তারা রাজুকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবাববন্দি দেয়।
পরে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সুমন, শামীম ও জামালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অপরাধের সময় তিনজনই কিশোর থাকায় তাদের দণ্ড বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একে আজাদ ফিরোজ টিপু বলেন, শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচার শিশু আদালতে করতে হবে ২০১৩ সালে এমন একটি আইন পাশ হয়েছে। আর মামলাটি যেহেতু ওই সময়ের আগে তাই অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিচারিক আদালতে বিচার কাজে বাধা নেই।