বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের শ্রমিকদের দেড় লক্ষাধিক টাকা বকেয়া পড়েছে।
গেল ৯ মাস ধরে শ্রমিকদের বকেয়া পড়া ওই টাকা দ্রুত পরিশোদের দাবি তাদের। তবে কতৃপক্ষ বলছে, ঠিকাদারের ওই অর্থ পরিশোধের কথা।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুস্থদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচী আওতায় চাল বিতরণের জন্য ৫০ কেজির বস্তা ভেঙে চাহিদা অনুযায়ী ৩০ কেজির বস্তা তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ জন্য বস্তা প্রতি ৬ টাকা হারে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
গুদামের শ্রমিক সর্দার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রয়েছে। গেল ৯ মাসে তাদের প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার ২শ’ টাকা বকেয়া পড়েছে।
‘চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে তাদের সমস্ত বকেয়া মজুরী পরিশোধ না করলে মে মাস থেকে চালের বস্তা প্রসেসিং এর কাজ বন্ধ করে দিবেন।’
এ বিষয়ে মোরেলগঘঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিমাসে ২৮শ’ বস্তা চাল প্যাকেট করে থাকেন শ্রমিকরা। সে বাবদ তাদেরকে ১৬ হাজার ৮শ’ টাকা মজুরী দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় ৯ মাসে দেড় লক্ষাধিক টাকা বকেয়া পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মূলত শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করার কথা ঠিকাদারের। আমরা ঠিকাদারকে টাকা দিব।
২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জেলার ৮টি খাদ্য গুদামে ঠিকাদার নিয়োগের পর তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে আইনী জটিলতার কারণে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় আগের ঠিকাদারের সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আগের চুক্তি অনুযায়ী ৩০ কেজির বস্তা করার কোন ক্যাটাগরি ছিল না। এই খাতে ঠিকাদারদের কিছু বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ঠিকাদারের ওই পাওনা পরিষদ করা হবে।