রায়ে আদালত যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচবছর দণ্ডপ্রাপ্তদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন বাগেরহাট পৌর শহরের খারদ্বার এলাকার ফজলুল মল্লিকের ছেলে রুবেল মল্লিক (২৫) ও জাহাঙ্গীর খানের ছেলে খান মোহাম্মদ জিহাদ (৩০)।
মামলার অন্য দুই আসামী শহরের সম্মিলনী স্কুল রোডের সামাদ পাইকের মেয়ে সুমনা নাজনিন ওরফে বনানী (২৬) ও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ধাইয়ারকূল বাড়ি গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে খালিদ মোল্লাকে (২৯) পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুমনা নাজনিন পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামী রায় ঘোষনার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, শহরের দক্ষিণ সরই এলাকার মো. নুরুল ইসলাম চৌধরীর ছেলে ওবায়দুল ইসলাম চৌধরীর সঙ্গে আসামী সুমনা নাজনিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সুমনার সঙ্গে চরমপন্থিদের (জনযুদ্ধ লাল পতাকা) যোগাযোগ থাকার কথা উল্লেখ করে সুমনাকে ডিভোর্স দেন ওবায়দুল।
‘এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওবায়দুলের কাছে পৌনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সুমনা। চাঁদার ওই টাকা না পেয়ে ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের আলিয়া মাদ্রাসা সড়কে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওবায়দুলকে হত্যা করে।’
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সীতা রাণী দেবনাথ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন ২০১১ সালে ৩১ মে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার আদালত এ রায় প্রদান করে বলে জানান পিপি।
০৪ এপ্রিল :: স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আইএইচ/এনআরএ/বিআই