অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ না করা ও বিধি বর্হিভূতভাবে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে বাগেরহাটের মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
সোমবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো. আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
তবে বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশের কপি বাগেরহাটে এসে পৌঁছায় নি বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটে স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মংলা পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর নির্ধারক দান্তে সুধাংশু সরদার, স্টোর কিপার নির্মলা ভান্ডার, কার্য সহকারী মো. আবু বকর সিদ্দিক, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক শেখ জাবেদ আলী, কর আদায়কারী মো. নুরুল আমিন, অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) মো. আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, ভবিষ্যত তহবিল, আনুতোষিক ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সকিউরিটি বাবদ টাকা পাওনা রয়েছে। তাদের ওই পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য মেয়রকে একাধিকবার আদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা পরিশোধ করেননি।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে মো. শহীদুল ইসলাম নামে এক অফিস সহায়ককে (এমএলএসএস) নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের পদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচারণের দায়ে মেয়র জুলফিকার আলীকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর (৩১) ধারার বিধান অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
জুলফিকার আলী মংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
বরখাস্তের ওই আদেশে সেইসঙ্গে মংলা পোর্ট পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জুলফিকার আলী বলেন, সাময়িক বরখাস্তের আদেশের কথা শুনেছি। তবে এমন আদেশের কোন কপি আমি এখনও পাইনি। চিঠি হাতে পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব।