বাগেরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গণনাকালে পৃথক তিনটি সংঘর্ষের ঘটনায় মুন্না ব্যাপারী (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ও কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্যপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মুন্না ব্যাপারী মঘিয়া ইউনিয়নের চর সোনাকূড় গ্রামের কামরুল ব্যাপারীর ছেলে এবং কচুয়া সি এস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মুন্নার দাদা মুজিবর রহমান ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের চর সোনাকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় কেন্দ্রের বাইরে ৯নং ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থী ওলিয়ার ও ইনুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলের কাছে থাকা মুন্নার গায়ে গুলি লাগে।
তবে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শমসের আলী দাবি করেছেন, পুলিশ সেখানে কোনো গুলি ছোড়েনি। বরং দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কাফুরপুরা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে তিন নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে সাতজনকে রাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- কাফুরপুরা গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্যপ্রার্থী হাবিবুর রহমানের পরিবারের আব্দুল জব্বার (৬০), জাহেদা বেগম (৪৫), মঞ্জুয়ারা (৪২), জেসমিন (২৬), রাজু (১৬) ও চিন্তিরখোলা গ্রামের মহানন্দ (২৫)।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. মশিউর রহমান জানান, মুন্নার বুকে ছররা গুলির স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।