বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর বারইখালী গ্রামের ভরাঘাটা খালে মেয়েটির ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
বারইখালী মানিক মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি আক্তার (১১) নামের ওই শিশু উপজেলার উত্তর বারুইখালী গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের মেয়ে।
মেয়েটিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সেলিনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে আটক করেছে। তিনি ওই গ্রামের সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম জানান, সকালে উত্তর বারইখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পাশের একটি খালে জান্নতির দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
মেয়েটির শরীরে পুলিশ কোনো আঘাতে চিহ্ন পায়নি বলে জানান তিনি।
জান্নাতির পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “রোববার রাতে বাবা মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশে মাহাফিল শুনতে যায় জান্নাতি। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল এএসপি) এনামুল হক মিঠু জানান, নিহত জান্নতির বাবা জালাল উদ্দিন শেখের সঙ্গে তার ফুপাত ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
“সেই বিরোধের জের ধরে জান্নাতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিকে দুপুরে সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী সেলিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।