ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাগেরহাটের দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এরা হলেন- মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম ও রামপাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “নির্বাচন কমিশনের আদেশে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব সামসুল আলম বলেন, “তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত ওসিকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
ওই দুই ওসির বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হামলা, ভয়ভীতি ও হুমকির অভিযোগ করলেও দুই থানা গুরুত্ব না দেওয়ায় ওই দুই উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে।
“প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠেয় ২২ মার্চের নির্বাচনে পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পুলিশের আইজিপিকে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
“বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশনের ওই আদেশের চিঠি আমার কাছে পৌঁছে।”
২২ মার্চ প্রথম ধাপের নির্বাচনে বাগেরহাটের নয়টি উপজেলার ৭৩ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে।
এর আগে আদালতের নির্দেশে ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনয়িন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।