এপ্রিল মাসের মধ্যেই সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে লাইটারেজ জাহাজসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক নৌ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়।
বুধবার (৯ মার্চ) মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুটের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলটি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৪ সালের জুন মাস থেকেই ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী থেকে এক কোটি ২৫ লাখ কিউবিক পলি অপসারণ করা হয়েছে। খনন কাজ শেষ হলে এ রুট দিয়ে ১২ ফুট ড্রাফটের বড় নৌ যান চলাচল করতে পারবে।
এ সময় সচিবের সঙ্গে মালদ্বীপের হাই কমিশনার ড. মোহম্মদ অসীম, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, এলজিইডির প্রদান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে ৯ ডিসেম্বর বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ফার্নেস তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যায়। এরপর থেকে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গবেষকরা সুন্দরবনের শ্যালাসহ বনের ভেতর দিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক নৌ চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সুন্দরবনে তেল বিপর্যয়ের পরে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলও সুন্দরবন ঘুরে গিয়ে এ রুটটিসহ বনের ভেতর দিয়ে নৌ যান চলাচল বন্ধের সুপারিশ করে। তখন নৌ মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিআইডাব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তারা ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে মংলা-ঘষিয়াখলী নৌ পথ পুরোপুরি চালু ও শ্যালা দিয়ে নৌ যান চলাচল বন্ধ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। অবশ্য এর মধ্যে আরো কয়েকটি ছোট-বড় নৌ দুর্ঘটনার বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে।
তবে এখনো সুন্দরবনের ভেতর শ্যালা নৌ রুট দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নৌ যান চলাচল বন্ধ হয়নি।