প্রচ্ছদ / খবর / আওয়ামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বড় ভাই কারাগারে

আওয়ামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বড় ভাই কারাগারে

UP-Electionবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আপন বড় ভাইকে জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাওলাদার আবুল খায়ের। এখানে বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র’ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবুল খায়েরের আপন বড় ভাই সিদ্দিক হাওলাদার।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হবার পর দিন বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) একটি মানবপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিছে।

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘স্বতন্ত্র’ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সিদ্দিক হাওলাদাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তার একাধিক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এর কাছে অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাওলাদার আবুল খায়েরের সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। তিনি সেই বিরোধ ও নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ার জেরে পাশ^বর্তি চালিতাবুনিয়া গ্রামের জনৈক আবুল কালাম শেখ নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে তার আপন বড় ভাই সিদ্দিক হাওলাদারের নামে মিথ্যা মানবপাচারের একটি মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে।

এর আগে প্রার্থীতা প্রত্যাহারে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রেপ্তার সিদ্দিক হাওলাদরের পরিবার।

মোরেলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরদার ইকবাল হোসেন বলেন, একটি মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করলে কোর্ট সিদ্দিক নাকে ওই ব্যাক্তিকে জেল হাজতে পাঠায়।

মামলার বরাত দিয়ে এসআই ইকবাল হোসেন বলেন, চলতি বছরের ১৫ জানুয়রি উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম শেখের স্ত্রী শ্যামলী বেগমকে (৪০) একই ইউনিয়নের খেজুড়বাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদার ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে আবুল কালাম তার স্ত্রী শ্যামলীকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন।

এর এক মাস পর ১৫ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে আবুল কালামের স্ত্রী শ্যামলী ভারতের দিল্লী থেকে তাকে ফোন করে এসব কথা জানায়। আবুল কালাম বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে নিজেই তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ১ মার্চ বদী হয়ে সিদ্দিক হাওলাদারসহ আরও দুজনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

শ্যামলী নামের ওই গৃহবধু নিখোঁজের আড়াই মাস পরে হটাৎ করে কোন এক ব্যক্তি অভিযোগ করলো এবং পুলিশ কোন তদন্ত ছাড়াই কেন মামলা নিল এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেনি পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও বড় ভাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে হাওলাদার আবুল খায়ের বলেন, বড় ভাই সিদ্দিকের সঙ্গে আমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। তিনি নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় তাতে তেমন প্রভাব পড়বে না। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে শুনেছি তাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে আমার কোন হাত নেই।

খাউলিয়া ইউনিয়নে এই দুই ভাই ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেলিম মিয়া।

০৬ মার্চ :: অলীপ ঘটক ও ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এজি/এসআই/এনআরএ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ