একত্রে বিষপানে অাত্মহত্যার চেষ্টা করা বাগেরহাটের চিতলমারীর রায়গ্রাম নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার ছাত্রী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
শনিবার (৫ মার্চ) থেকে তাদের তাদের স্বাভাবিক খাবার দেয়া হচ্ছে। তবে ২৪ ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে হাসপাতাল কর্তিপক্ষ।
দুপুরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সজল কান্তি বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, একত্রে ৪ স্কুলছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়োন সৃষ্টির প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই তদন্ত কমিটি গঠন হলেও শনিবার তারা তদন্ত কাজ শুরু করেনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রাম নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার স্কুলছাত্রী এক সঙ্গে বিষপান আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়রর দিকে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এরা হলো, নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী রায়গ্রামের শেখর মৃধার মেয়ে মনিষা মৃধা (১৩), নৃপেন মৃধার মেয়ে অর্পিতা মৃধা (১৩), শংকর মৃধার মেয়ে সেতু মৃধা (১৪) ও শম্ভু মৃধার মেয়ে সুমি মৃধা (১৪)। তারা রায়গ্রাম নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
কিটনাশ( বিষপানে) অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে জানিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. সজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, যখন তারা এখানে ভর্তি হয় তখন তাদের শরীরে খিচুনী হচ্ছিল। তাই বেড থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে মেঝেতে রাখা হয়। দুপুরে তাদের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বেডে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এখনো তাদের কিছুটা পেটব্যাথা ও বমির ভাব রয়েছে। তবে তারা এখন সবাই শংকামুক্ত।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, শনিবার সকালে আমি ওই চার স্কুল শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছি। তারা সবাই এখন ভাল আছে। ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি রোববার (৬ মার্চ) থেকে তাদের কাজ শুরু করবে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, চার স্কুল শিক্ষার্থীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। দুপুরে রায়গ্রাম নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবব্রত মজুমদারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।
ছাত্রীরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলবো। আমরা জড়িতদের খুঁবে বের করতে যথেষ্ট আন্তরিক আছি।
ওই চার ছাত্রীকে একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর যে কয়েক উশৃঙ্খল ছাত্র বিভিন্ন সময়ে কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দিত তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তবে এবিষয়ে জানতে রায়গ্রাম নবপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবব্রত মজুমদারের ফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে সংযোগটি কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।