বাগেরহাটের রামপালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিন শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রথম স্বামী জাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার ছোটভাই শহিদুল ইসলামের সাথে নাজমা বেগমের (৩৪) বিয়ে হয়। পূর্বের স্বামীর ঘরে নাজমার আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ছেলে সন্তান ছিলো। পরে সাইদুলের সংসারে তার জুবায়ের নামে আরেকটি ছেলে হয়।
বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জেরে ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটার দিকে সাইদুল তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে ধারালো দা’ দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। মাকে হত্যার এই দৃশ্য দেখে ফেলে তার ৭ বছরের সন্তান জুবায়ের।
হত্যার পর পালিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসী সাইদুলকে হত্যায় ব্যবহৃত দা’সহ আটক করে পুলিশে দেয়। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি নাজমা বেগমের ছেলে আব্দুলাহ-আল-মামুন বাদি হয়ে চাচা শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলে বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপাল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রউফ খান তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৩ মার্চ আসামী শহিদুলের বিরুদ্ধে আদলতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালত মামলার শুনানীর সময় মোট দশ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবি বাগেরহাটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটার কাজী মনোয়ার হোসনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মামলা চলাকালে আদালত হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ওই দম্পতির ৭ বছরের সন্তান জুবায়ের কবিরসহ ১০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ গ্রহণ শেষে বুধবার বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। শহিদুল আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মাহফুজুর রহমান লাহু।