ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে বাগেরহাটের ৭৪ ইউনিয়নে বৈধ প্রার্থী ৩ হাজার ৩৪৮ জন।
যাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২০৪ জন, ইউপি সদস্য পদে ২ হাজার ৪০৮ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৩৬ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়রি) রাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার ৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিলো ২১৫টি। এর মধ্যে যাচই বাছাই শেষে ২০৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ২ হাজার ৭৬৬ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৭৬ জন প্রার্থীর। যাচাই বাছাই শেষে ইউপি সদস্য পদে ২ হাজার ৪০৮ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৩৬ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে বাগেরহাট সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ১৮, ইউপি সদস্য পদে ৩৬৩ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যাচই বাছাই শেষে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ১৯, ইউপি সদস্য পদে ২০৪ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সত্তার জানান, যাচই বাছাই শেষে ফকিরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ২৫, ইউপি সদস্য পদে ২৫৪ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, যাচই বাছাই শেষে মোল্লাহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬, ইউপি সদস্য পদে ২০৪ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘষিত হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭, ইউপি সদস্য পদে ২৫২ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৭, ইউপি সদস্য পদে ৯১ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় বাংলানিউজকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে শরণখোলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩, ইউপি সদস্য পদে ১৭৫ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘষিত হয়েছে।
মংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে মংলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫, ইউপি সদস্য পদে ২৬৫ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭০
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যাচই বাছাই শেষে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬৪, ইউপি সদস্য পদে ৬০০ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭৯।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল নিষ্পত্তির পারও আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।