সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে নিহত বনজীবীর পরিবার ও বাঘের আক্রমণে আহত এক বনজীবীকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বন বিভাগ।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
হতাহতরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের হাসেম মোল্লা।
তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সুন্দরবনে মাছ ধরতে দিয়ে ২০০৫ সালের ৭ মে কুমিরের আক্রমণে নিহত হন এবং হাসেম মোল্লা মধু আহরণে গিয়ে ওই বছরে ২৮ এপ্রিল বাঘের আক্রমণে আহত হন।
অনুষ্ঠানে নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী পলি বেগমের হাতে এক লখ টাকা এবং আহত হাসেম মোল্লার হাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মামুন উল হাসান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম টুকু, অধ্যাপক মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনে বৈধ পাশ নিয়ে বনজ সম্পদ আহরণে গিয়ে কোনো ব্যক্তি কুমির ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে নিহত বা আহত হলে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় ২০১০ সালে।
সেই থেকে বাঘ ও কুমিরের আক্রমণে সুন্দরবনে গিয়ে কেউ নিহত হলে এক লাখ টাকা, আহত হলে ৫০ হাজার টাকা এবং এসব বন্যপ্রাণী যদি লোকালয়ে এসে মানুষের সম্পদের ক্ষতি সাধন করে তাহলে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে বন বিভাগ।