নাশকতার পৃথক দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসহ দুই নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এরা হলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদ আলী রেজা বাবু এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাশারাত হাওলাদার।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. জাহিদুল আজাদ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আমামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি নাশকতার পৃথক দুটি মামলার রায়ে আদালত তার মক্কেলদের তিন বছরের করাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে রোববার আদালতে এসে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের মুখ্যাইট মোড এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননার অভিযোগে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা (৩৭০/১৩) দায়ের করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফ্ফারে দায়ের করা ওই মামলায় ১১৭ জনকে আসামী করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত ওই বছরের ২০ আগস্ট ১১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। ১৩ জানুয়ারি রায়ে আদালত বিএনপি-জামাতের ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ওই সাজা প্রদান করেন।
গোটাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাশারাত হাওলাদার এই মামলার দন্ড প্রাপ্ত আসামী।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুুর ইউনিয়নের কু-কুড়ামারা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় ১০৮ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা (৪৭৫/১৩) দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফররুখ আহমেদ একই বছরের ৩০ অক্টোবর ৯৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৩ জানুয়ারি আদালত এই মামলার রায়ে ২৩ জনকে ৩ বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদ আলী রেজা বাবু এই মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তাকে বাগেরহাট মডেল থানার জি আর – ১০ ও জি আর ৩৯ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।