বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন দুই ‘বনদস্যু’ নিহত হয়েছেন।
র্যাব বলছে, নিহতরা বনদস্যু ‘আকাশ বাবু বাহিনী’র প্রধান আবুল কাশেম বিল্লাল ওরফে আকাশ বাবু (৪০) এবং বাহিনীর উপ-প্রধান ফরিদ শেখ ওরফে মেঝ ভাই (৪৫)। তাদের দুজনের বড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার পর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া খাল এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বনদস্যু ‘আকাশ বাবু বাহিনী’র ১০/১২ জন সদস্য সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় বনের ভেতর একটি বাইন গাছের উপর নিরাপত্তা চৌকি দেখে র্যাব সদস্যরা কৌশলগত অবস্থান নিয়ে এগুতে থাকে।
“সকাল সোয়া ৭টার দিকে শ্যালা নদীর তাম্বুলবুনিয়া খালের পশ্চিম পাশ থেকে দস্যুরা র্যাব সদস্যদের উপর উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।”
তিনি বলেন, সোয়া ৭টা থেকে পৌনে ৮টা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে পালিয়ে গেলে র্যাব স্থানীয় জেলেদের নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ, ১৭টি অস্ত্র ও ৪৫০টি গুলি উদ্ধার করে।
জেলেরা গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ দু’টি ‘আকাশ বাহিনী’র প্রধান ও উপ-প্রধান বলে শনাক্ত করে।
উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- চারটি এলজি, পাঁচটি কাটা বন্দুক, ছয়টি পাকিস্তানি একনলা বন্দুক, দু’টি চাইনিজ এয়ার রাইফেল। এছাড়া ৪৫০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি, সাতটি ধারালো রামদা, দু’টি বাইনোকুলার, মোবাইল ফোন ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এই বাহিনী চলতি মৌসুমে সুন্দরবন ও সাগরের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে দাবি করছেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় বাগেরহাটের মংলা থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।