পৌর নির্বাচনে বাগেরহাটের দু’টি পৌরসভার মোট ২৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে বাগেরহাট পৌরসভায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র ছাড়া ১৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পেশাকে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্টাইকিং ফোর্স ভোটের দিন মাঠে থাকবে। নিয়ন্ত্রিত করা হবে ভোটের দিনে যান চলাচল।
বাগেরহাট পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ২০৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭৭৮ জন এবং নারী ভোটার ১৭ হাজার ৪২৫ জন।
এ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবুল কালাম মো. আবুল হাই, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মির্জা আলি হাসান খান ও স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকে মীনা হাসিবুল হাসান শিপন।
এছাড়া বাগেরহাট পৌরসভায় নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৪ হাজার ৩০৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৯০ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ২১৩ জন।
এখানে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে মনিরুল হক তালুকদার, ধানের শীষে আ. মজিদ জব্বার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি নেতা শ্রী সোমনাথ দে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোরেলগঞ্জে নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয়জন প্রার্থী।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাগেরহাট জেলায় তিনটি পৌরসভা থাকলেও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তফসিল ঘোষণার পরও থেমে যায় মংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন। আদালতে একটি রিট পিটিশন থাকায় ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা এড়াতে ছয় মাসের জন্য মংলা পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জের পৌর এলাকা ছাড়িয়ে নির্বাচনের আলোচনা এখন জেলার সর্বত্র।