বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র খান হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা ভোটারদের মারপিট, হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র ময়র প্রার্থী মীনা হাসিবুল হাসান শিপন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খান হাবিবুরের সমর্থকরা প্রকাশ্যে নির্বাচন আচরণ বিধি লংঘন করে তার (শিপন) সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মারপিট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেঅভিযোগ দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।
শিপন বলেন, গত শুক্রবার খান হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা গোল্ডেন লাইন পরিবহণের কর্মচারী বাচ্চুকে তুলে নিয়ে মারপিট করে। একই সময় মোটরসাইকেল চালক রুবেল শেখ মারপিটের শিকার হন।
বৃহস্পতিবার শোভন মীনা নামে এক যুবককে মারপিট ও ষোলপট্টি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়। এছাড়া বিআরটিসি বাস কাউন্টারে হামলা ও কর্মচারীদের মারধর করা হয়।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শিপন আরও বলেন, এর আগে বুধবার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মাসুদুর রহমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। মঙ্গলবার রাতে রেল কলোনীতে এলাকায় হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন সময়ে আরও অর্ধশত নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালিয়ে খান হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা।
শিপন এসব হামলায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মীনা হাসিবুল হাসান শিপন নিজেকে ‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নন’ দাবি করে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ী হবো। এখানে একজন প্রার্থীর জনপ্রিয়তার যাচাইয়ের জন্য প্রার্থী হয়েছি; দলের বিরুদ্ধে নয়।
এ ব্যাপারে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে তিনি সাংবাদিকদের না বলে পুলিশকে বললেই পারতেন। কিন্তু রির্টানিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না করে সাংবাদিকদের বলে ফায়দা লুটতে চাইছেন।
হামলার বিষয়গুলো পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের ওই মেয়র প্রার্থী।