সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মান্দ্রা জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মকসুদুর রহমান (৪০) মারা গেছে। গত ৯ মার্চ এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফেরার পলে ধরে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ওই ইমামের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী ক্বারী মকসুদকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ও খুলনা মেড়িকেল কলেজে এবং পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময়ে মকসুদ মারা যায় বলে মকসুদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে এশার নামাজ শেষে করে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এর পর দিন স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা বাদী হয়ে ওই ইমামের বিরুদ্ধে সম্প্রাদায়িক উস্কানির অভিযোগে বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে পিতার উপর হামলা কারীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাজমুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, এলাকার আওমিলীগে সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর হামলায় মসজিদের ইমাম ক্বারী মকসুদুর রহমান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে সুমন ওই ইমামের নিকট একটি মাটর সাইকেল দাবী করে। তার এই আবদার না মেটাতে পারলে তাকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে মামলা-হামলার হুমকি দেয় হচ্ছিল।
পরে ১০ মার্চ রাতে ইশার নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী সুমন ও তার দলবল ক্বারী মকসুদকে ধরে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
পরে সন্ত্রাসী সুমনের চাচা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল হোসেন বাদি হয়ে আহত ইমামকে প্রধান আসামী ও তার ভাই বিএনপি নেতা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য নওশের আলীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমুলক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে মামলা করে।
আর এই ঘটনার মকসুদকে পরিবার পুলিশ প্রশাসনের উধ্বর্তন সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। অথচ পুলিশ সন্ত্রাসীদের আজও আটক করেনি।