সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা নদীর ডুবোচরে ৭৪০ মেট্রিকটন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে একটি কার্গো জাহাজ ৪ দিন ধরে আটকে আছে।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ভারত থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল-ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে এমভি শোভন-১ নামে একটি কার্গো সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।
“৭৪০ মেট্রিকটন ফ্লাইঅ্যাশবাহী কার্গোটি মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মরাভোলা এলাকা অতিক্রম করার সময় ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে ডুবোচরে উঠে যায়।”
বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লাইঅ্যাশ সরিয়ে নিতে ‘এমভি সাথীভাই’ নামে একটি কার্গো জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, ওই ঘটনায় শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) শরণখোলা থানায় কার্গোটির মালিক পক্ষ ঢাকার মেসার্স আলমগীর নেভিগেশন কোম্পানি একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ দুটি পৃথক দল।
| মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে নৌযানডুবি
তবে কার্গোটি ডুবোচরে আটকে যাওয়ার পর থেকেই ঘটনাস্থলে পর্যবেক্ষণে থাকা সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছে বিষয়টি নিয়ে এখনও আত্মঙ্কের কিছু নেই। তবে তারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা একেএম ইউসুফ আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘কার্গো মাস্টার আব্দুল ওহাব তাদের জানিয়েছেন, “পুলিশের অনুমোতি পেলে কার্গোটি ডুবোচর থেকে সরিয়ে নিতে ফ্লাইঅ্যাশ খালাশের কাজ শুরু করা হবে।” এখনও কার্গো জাহাজটি কোন দিকে এলে না পড়ায় ঝুকি অনেকটাই কম। তবে আমারা সব বিষয়ে খেয়াল রাখছি।’
জাহাজের সুকানী (চালক) মো. রাব্বি জানান, জাহাজের পেছনের অংশ বালুতে আটকে গেছে। তবে সামনের দিকে পানির গভিরতা বেশি থাকায় এখনও পানিতে ভেঁসে আছে।
‘কার্গো জাহাজটি ঝুঁকি মুক্ত করতে অপর একটি জাহাজের মাধ্যমে মাল খালাসের চেষ্টা চলছে।’
নদীতে জোগার গোন শুরু হলে ভরা জোয়ারে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পাবে। এখন জাহাজটি উদ্ধার কাজ সহজতর হবে বলে জানান এসিএফ কামাল উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে প্রায় দুই হাজার মেট্রিকটন সার নিয়ে এমভি জাবালে নূর নামের একটি কার্গো একই স্থানে ডুব চরে আটকে তলা ফেটে ডুবে যায়।