নদী ও সাগরে মাছধরতে যাওয়া বাগেরহাটের ৭ হাজার ইঞ্জিন চালিত বোটের (নৌকার) মধ্যে মাত্র ৩৮টি’র অনুমোদন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে মৎস্য ক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়াণ চন্দ্র মণ্ডল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা নিয়ে কাজ করেন আমাদের জেলেরা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার কারণে তাদের জীবনমান ও ভাগ্য উন্নয়নে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিস- বিলস এর আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সমুদ্রগামী জেলে, মৎসজীবী, ট্রলার মালিক, আড়ৎদার, মৎস্য শ্রমিক সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় উপকূলের মৎস্যজীবী জেলে ও শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি, জেলেদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট করা, জীবন বীমার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উঠে আসে।
বিলস এর প্রোগ্রাম অফিসার মনিরুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোবিন্দ কুমার মোল্লা, চিংড়ি ডিপো সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সমিতি বাগেরহাটের নেতা মনোয়ার হোসেনসহ সমুদ্রগামী জেলে, ট্রলার মালিক, আড়ৎদার ও মৎস্য শ্রমিকরা অংশ নেন।