বাগেরহাটের রামপালে বিআইডব্লিটিএ’র মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল খনন কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাবুলকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রামপাল থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
আটক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
বিআইডব্লিউটিএ ও পুলিশ জানায়, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-রুটের রামপাল পুরাতন ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র খনন কালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ওই নেতা বাধা দেয়।
‘মঙ্গলবার সকালে একটি ড্রেজার ওই এলাকায় খনন কাজ শুরুর পরপর রফিকুল ইসলাম বাবুল সেখানে উপস্থিত হয়ে খনন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ নির্দেশ নেন। কিন্তু ড্রেজারের মাস্টার খনন কাজ বন্ধ না করে এ বিষয়ে তাকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথার অনুরোধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।’
‘এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ড্রেজার মাস্টার মো. শাহাজানকে (৫৫) মারপিট করে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল। এ ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মচারীরা নৌ পথের খনন কাজ বন্ধ করে দেয়।’
বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারীদের ক্ষোভের বিষয়টি জানার পর প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে বিকালে সাড়ে ৪টা থেকে পুলিশ পাহরায় পুনরায় ড্রেজিং কাজ শুরু হয়।
এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় রামপাল থানা পুলিশ উপজেলা সদর থেকে তাকে আটক করে। পরে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের কার মামলায় তাকে আটক দেখায় পুলিশ।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি (বিআইডব্লিটিএ) কর্মচারিকে মারধার ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রধানের অভিযোগে ড্রেজার মাস্টার মো. শাহাজান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাবুলকে আটক দেখিয়ে রাতেই বাগেরহাটে পাঠিয়েছে।
বুধবার সকালে তাকে তাকে আদালতে পাঠান হবে বলে ওসি জানান।
এরআগে ভোটার তালিকা হালনাগান কার্যক্রম প্রভাবিত কারা ও তথ্য সংগ্রহারী এক স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ছিলেন চেয়ারম্যান ববুল। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন তিনি।