বাগেরহাটে বিএনপি নেত্রী পরিচয়ে চলা শিরিনা বেগম নামে এক ভূয়া এ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসকাবের সামনে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। এর আগে বাগেরহাট প্রেসকাব মিলনায়তনে শিরিনা বেগমের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার আপন দেবর মো. ফারুক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে মো. ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন একজন সরল-সহজ মানুষ। তার স্ত্রী শিরিনা বেগম বিভিন্ন সময় সেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করতে গিয়ে নানা বিধ অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে চাকরি হারান। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময় থেকেই তিনি নিজেকে বিএনপি নেত্রী পরিচয় দিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে স্বামীর বাড়ির স্বজনদের (আপন ভাই ও ৪ বোন) বঞ্চিত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হোসেন বলেন, তিনি এতটাই বেপরোয়া ছিলে যে, আমি দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় আমার বৃদ্ধ মা এবং বোনেরা তার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমাদেরকে বিতাড়িত করতে একাধিক মামলা ও নির্যাতন শুরু করে উকিল পরিচয়ে চলা ভূয়া এ্যাডভোকেট শিরিনা বেগম। এবিষয়ে বার বার শালিস বৈঠকসহ প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।
সাম্প্রতি তার বিরুদ্ধে করা একটি চাঁদাবাজি মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের হুমকি দেওয়ায় আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ওই নারী আবারও বেপরো হয়ে উঠেন।
তিনি আরও বলেন, তার ওই সব অত্যাচার নির্যাতনে প্রতিবাদ করায় এলাকার সাধারণ মানুষও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হচ্ছেন। এমনকি শালিস বৈঠকে অংশ নেওয়া জনপ্রতিনিধিরাও তার হাত থেকে রেহায় পায়নি। তাদের বিরুদ্ধেও নানা মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দেওয়া হয়।
এসময় ফারুক হোসেন তার পৈত্রিক সম্পতি ফিরে পেতে এবং এলাকার সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার বন্ধে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর বেপরোয়া অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার এলাকাবাসী ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃদ্ধ উপস্থিত ছিলেন।