বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাহিরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ১২টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান ও স্থানীয় মানসা-বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. রেজাউল করিম বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন।
এ সময় বিদ্যালয় আঙিনায় কেটে ফেলা ৩টি গাছ জব্দ করেন তারা। একইসঙ্গে বাকি গাছগুলো না কাটার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তনয় রায় জানান, কেটে নেওয়া গাছগুলোর বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। ১২টি গাছের মধ্যে ৮টি মেহগনি ২টি মেগনিশ ও ২টি জিয়াল গাছ রয়েছে। এগুলোর মূল্য অন্তত ৫ লাখ টাকা। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির কয়েক সদস্যের যোগসাজশে অর্ধেকেরও কম মূল্যে গাছগুলো বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ শেখ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বাচ্চু বলেন, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাহিরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ শেখ প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান ১২টি গাছ অসীম পাল নামের এক গাছ ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। আমরা গ্রামবাসী বিষয়টি জানতে পেরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তুষার কান্তি বসুর কাছে জানতে চাইলে, তিনি গাছ বিক্রির বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানেন বলে আমাদের জানান।
তিনি আরও বলেন, ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক নিজে ওই অর্থ আত্মসাত করতে অবৈধভাবে গাছ বিক্রি করে দেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য নিয়ম অনুযায়ী গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
ফকিরহাটের ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে ফেলা ৩টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। অন্য গাছগুলো না কাটার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।