বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ঘুরে গেলেন ১২টি দেশের পর্যটক প্রতিনিধি। ১৭ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশসহ আট দেশের পর্যটন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে মংলা আসে তারা।
এসময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্ল্যা মংলা নৌ-ঘাঁটিতে তাদের স্বাগত জানান।
বেলা বেলা ১১টা ২০মিনিটে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে মংলা নৌঘাঁটিতে পৌঁছান তারা।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সুন্দরবন পরিদর্শনে আসেন প্রতিনিধি দলে চীন, ভারত, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ ১৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।
পরে, একটি বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট জাহাজে চড়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হারবাড়িয়ার পর্যটন কেন্দ্রে যান তারা।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ জানান, সুন্দরবন ভ্রমণের পুরো সময়ে উৎফুল্ল ছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সুন্দরবনের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়েছেন তারা।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই বলেন, গত দুই দিনে বাংলাদেশে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই প্রীতিকর, যা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে। সুন্দরবন সত্যিই অসাধারণ। এদেশের সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছেন। আমরাও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবো।
আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশাবাদ জানান তাবেল রিফাই।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঐতিহ্যকে রক্ষা করার সাথে সাথে এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষে মংলায় থ্রি-স্টার হোটেল, নির্মাণাধীন হযরত খানজাহান (রহ.) বিমান বন্দরের পাশে ফোর-স্টার হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বনের ভেতরে জাহাজ চলাচল, বাঘ হত্যা থেকে শুরু করে এই বিষয়গুলো বন ও পরিবেশ বিভাগের। এসব বিষয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- কম্বোডিয়ার পর্যটন মন্ত্রী টপ সোফেক, আফগানিস্তানের পর্যটন মন্ত্রী আব্দুল বারী জাহানী, ভুটানের পর্যটন মন্ত্রী লিয়নপো নরভো ওয়াংচুক, চীনের পর্যটন সংস্থার পরিচালক লাই কোওয়ানগো, ভারতের পর্যটন সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক শ্রী ভেন্ট সঞ্জয়, ভিয়েতনামের পর্যটন সংস্থার পরিচালক জেনারেল তারান দিনহ তানহ, নেপালের রাষ্ট্রদূত আমপেমা চোডেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহিম ওরাজ, বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ও পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী।
সুন্দরবন ঘুরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিকালেই মংলা থেকে ফের হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।