সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মংলা উপজেলার পশুর নদীতে ৫শ ১০ টন কয়লা নিয়ে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে মংলার বউটি মার্কেট এলাকায় পশুর নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়।
এমভি জি.আর রাজ নামে কার্গোটি ৫১০ টন কয়লা নিয়ে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করা বিদেশী জাহাজ এমভি গ্লোবষ্টোন থেকে খুলনায় যাচ্ছিল।
মংলা থানার জয়মনির ঘোল নৌ-টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) নজরুল ইসলাম ও গ্লোবষ্টোন জাহাজের স্টিভেডর নুর এ্যান্ড সন্স কোম্পানীর স্বত্তাধিকারী এইচ এম দুলাল বাগেরহাট ইনফো ডটকমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে জাহাজটির পিছনের অংশ কিছুটা দেখা গেলেও বাকী অংশ পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।
কার্গো জাহাজটির মাস্টার মো. ভুলু গাজী (৪০) বাগেরহাট ইনফো ডটকমেকে জানান, এমভি জি.আর রাজ নামে কার্গোটি ৫শ ১০ টন কয়লা নিয়ে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া থেকে খুলনা যাচ্ছিলো। পথে সাইলো (খাদ্য গুদাম) সংলগ্ন পশুর নদীতে ডুবচরে আটকে তলা ফেটে জাহাজটি ডুবে যায়।
তবে জাহাজে থাকা ১০ জন কর্মচারি নিরাপদে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানীকৃত কয়লা যশোরের নওয়াপাড়ার শেখ ব্রাদার্সের ঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এঘটনায় মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর (জিডি) প্রস্তুতি চলছিল।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান, হারবাড়িয়ার ৩নং বয়া থেকে একটি বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ থেকে আমদানি করা ওই কয়লা নিয়ে বিকালে খুলনার দিকে রওনা হয় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি।
গত বছর ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের এই রেঞ্জের কাছে শেলা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি ফার্নেস ওয়েলবাহী ট্যাংকার ডুবে যায়। ওই তেল সুন্দরবনের কয়েক হাজার কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।