বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান বলেছেন, ‘সরকার এখন আর জনগণের ওপর নির্ভর করে না। ভোটার বিহীন নির্বাচন করে সরকার তা প্রমাণ করেছে। সরকারের পায়ের তলায় এখন মাটি নেই।’
শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট শহরের পুরাতন কোর্ট চত্বরে ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’ কর্মসূচির সমাপনী সামাবশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন নিজেরা মারামারি করেই ব্যস্ত। দেশে শিশু নির্যাতন, নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে। সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই।’
‘সুন্দরবন রক্ষার নামে সরকার নিজেই সুন্দরবন ধ্বংস করছে’ এমন মন্তব্য করে মঞ্জুরুল আহসান আরও বলেন, ‘এই বন আমাদের বুক দিয়ে রক্ষা করে। তাই সুন্দরবনকে রক্ষায় আমাদেরও বুক পেতে দিতে হবে। কোনো ভাবেই আমারা সুন্দরবন বিধ্বংসী কোনো প্রকল্প হতে দিব না।’
সমাবেশে সিপিবি ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সরকারের এক হাতে জাতিসংঘের পুরস্কার, আরেক হাতে সুন্দরবনের মৃত্য পরোয়ানা। সরকার চাইলেও আমরা সুন্দরবন ধ্বংস করতে দিতে পারি না।’
সুন্দরবনের পাশে রামপাল ও ওরিয়নের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিধ্বংসী সব প্রকল্প বাতিল এবং প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’ শুরু করে।
দুপুরে বাগেরহাট শহরের পুরাতন কোর্টচত্বরে সমাপণী সামাবশের মাধ্যমে অভিযাত্রা কর্মসূচির শেষ হয়।
সভা থেকে আগমী ১৯ অক্টোবর ঢাকায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বন্দর-বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির সামাবেশ এবং ১৪ নভেম্বর সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কনভেনশনের ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, কমিউনিস্ট পার্টি বাগেরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল, রামপাল কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আহ্বায় সুশান্ত দাস, সুন্দরবন রক্ষা জাতিয় কমিটির বাগেরহাট শাখার আহ্বায়ক মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঁচ দিনব্যাপী সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রয় দল দু’টি মানিকগঞ্জ, গোয়ালন্দ, ফরিদপুর, মধুখালী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, দৌলতপুর, খুলনায়, কাটাখালি এবং সবশেষ বাগেরহাটে পুরাতন কোর্ট চত্বরের সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির শেষ হয়।