বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাস কাউন্টার ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে ১১ জনকে দন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে বাগেরহাটের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ মোঃ জাহিদুল আজাদ এই রায় দেন। রায়ে ১১ জনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেকেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
২০১৪ সালের ৯ মে ফকিরহাট উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে ওই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মৃত আব্দুল শেখের ছেলে ফকিরহাট যুবলীগ নেতা জিন্নাত শেখ, মাইজে ফকিরের ছেলে মো. বাসারাত ফকির, বারিক শেখের ছেলে আলম শেখ, মবিন মোল্লার ছেলে শাহবাজ, কুটে মোল্লার ছেলে মিরাজ মোল্লা, আছর আলী শেখের ছেলে রেজাউল শেখ, অজিত শেখের ছেলে রুবেল শেখ, কাওছার শেখের ছেলে মনু, সেকেন্দার আলীর ছেলে সাইফুল শেখ, আসর সেখের ছেলে ইকবাল শেখ, জিন্নাত শেখের ছেলে সুজন শেখ। এদের সকলের বাড়ি ফকিরহাটের আট্রাকী গ্রামে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, বিশ্বরোড মোড়ে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাদে । এসময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নাত শেখের নেতৃত্বে পর্যাটক পরিবহন কাউন্টারে লাঠি শোঠা ও অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর করাহয় ।
ভাংচুরের সময় কাউন্টারে থাকা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলালউদ্দিনের ছবি ভাংচুর করে। একই দিন বিকালে প্রতিপক্ষ ফকিরহাটের সাতশৈয়া গ্রামের এনাম শেখ বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে।
ঘটনার ১০দিন পর ফকিরহাট থাকার তৎকালিন উপ-পরিচালক (এসআই) লুৎফর রহমান ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ ১৫ মাস পর আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ এবং দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ জাহিদুল আজাদ এই দন্ড প্রদান করে।