বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় ভারতীয় ৫টি মাছধরা ট্রলারসহ সে দেশের ৬১জন জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলা দায়ের করে নৌবাহিনী তাদের বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে।
এরআগে সোমবার গভীররাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাৎক্ষনিক তাদের নাম জানা যায়নি।
আটক ট্রলারগুলো হলো- এফ বি ত্রিপদী, এফ বি সত্য নারায়ণ, এফ বি দাখিনা শহর, এফ বি লক্ষী নারায়ণ ও এফ বি প্রদীপ।
মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার রাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় টহলরত নৌ বাহিনী জাহাজ ‘বিএনএস কর্ননফুলি’ জাহাজে করে নিয়মিত টহলেরর সময় ফেয়ারওয়ে এলাকায় ভারতীয় পতাকাবাহী ৫টি মাছধরা ট্রলার দেখতে পায় নৌবাহিনী। ট্রলার গুলো দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া ককরে তাদের ধরতে সক্ষম হয়।
পরে বিপুল পরিমানের মা ইলিশসহ ট্রলার ৫টিতে থাকা ৬১ জেলেকে আটক করে মংলা উপজেলার দিগরাজে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটিতে আনা হয়।
অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে তাদের মংলা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, আটক জেলেদের কাছ থেকে ৩ হাজার এক শ’ পিস মা ইলিশ আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাছ মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে এবার আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত বছর এ সময় ১১ দিন হলেও এবার ৪ দিন বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে শত শত ভারতীয় জেলে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে। কোস্ট গার্ডকে ম্যানেজ করে দেশিয় বেশ কিছু ট্রলারও সাগরে মাছ শিকার করছে।